
১. আপনি কেন বিষণ্ণতায় ভুগছেন সেই কারণটি খুঁজে বের করুন। ভালবাসাহীনতা ? আপনি ভালবাসা খুঁজুন এমন মানুষের কাছে যে আপনাকে প্রত্যাখ্যান করবে না। আপনার মা হতে পারে,বন্ধু হতে পারে,নতুন কেউ আপনাকে ভালবাসতে পারে, আপনি বিয়ে করতে পারেন ইত্যাদি। তবে পরিবার হতাশার সবচেয়ে বড় উপশমকারী বলে আমি মনে করি।আর মা-যেমনই হোক, তঁার চেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু কেউ নেই। চাকরি হচ্ছে না,পড়ায় মন দিতে পারছেন না সব ক্ষেত্রেই কঁাটা দিয়ে কাঁটা তোলা সলুশন। যে কারণে বিষণ্ণ আপনি যদি সম্ভব হয় তা দূর করার চেষ্টা করুন নাহয় সুন্দর বিকল্প খুঁজে বের করুন।
২. আপনার কষ্ট শেয়ার করুন, শেয়ার করুন এবং শেয়ার করুন। আপনাকে অবশ্যই কাউকে না কাউকে বলতে হবে। চেপে যাওয়া মানে নিজেকে ধ্বংস করা। আমার মনে পড়ে প্রথম দিকে আমি যখন প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম,আমি আমার এক বন্ধুর সাথে কেমন পাগলের মতো বকেছি দিনের পর দিন। মাসখানেক পরে নিজেই অনুভব করেছি কষ্টের তীব্রতা কমে যাচ্ছে।
৩. ধর্ম – ধর্মীয় প্রার্থনা এমন শান্তি এনে দিতে পারে যা পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষটির পক্ষেও সম্ভব নয়। এই রমজানে আমি যখন কুরানের অর্থ পড়া শুরু করলাম কী যে অদ্ভুত প্রশান্তি পেয়েছি তা বোঝাতে পারবো না। সুতরাং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখুন। আপনার কল্যাণ অকল্যাণ সব অবস্থায় তিনি আছেন।
৪. সুইসাইড এর চিন্তা করবেন না। এটা হাস্যকর এবং ভয়ানক। আপনি চলে গেলে গুটিকয় আপন মানুষ ছাড়া পৃথিবীর কারো কিছু আসবে যাবে না।শেষ পর্যন্ত দেখে যান তাই।
৫. ভালবাসতে শিখুন। মানুষ,প্রাণি,গাছপালা সবকিছুকে। আপনি যেমন অন্যের কাছে ভালবাসা চান,আপনার কাছেও তাদের ভালবাসা প্রাপ্য আছে। এসব আপনাকে জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে।
৬. বৈধ আছে এমন কিছুর মধ্যে যা করতে ভালো লাগে কিছুদিন তাই করুন।
৭. একটা সিরিয়াস ব্যাপার হচ্ছে- যারা আপনার কথা শুনতে চায় না দয়া করে তাদের এভয়েড করে যান। তাদের উপেক্ষা আপনাকে আরো বিষণ্ণ করে তুলবে। মনে রাখবেন পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ মানুষটিকেও কেউ না কেউ ভালবাসে। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষটিকে খুঁজে বের করা।
৮. অতিমাত্রায় বিষণ্নতা অনেক সময় ভয়ানকভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
৯. ইলেকট্রনিক ডিভাইস সাময়িক ভাবে আপনাকে সব ভুলিয়ে রাখলেও বাস্তব জগত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই এর ব্যবহার কম করুন।